ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ত্রিমুখী হামলায় অন্তত ২২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৪৫ জন। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এছাড়া ইসরায়েলের বহু সেনাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাসের সবচেয়ে চৌকস ইউনিট আল-কাসেম ব্রিগেড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাসের চৌকস ইউনিটটি। এতে তারা দাবি করেছে, জীবিত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের গাজায় ধরে এনেছে তারা।
এর আগে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘আল আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান শুরু করে হামাস।
এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি। আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি এবং এই যুদ্ধে আমরাই জিতবো।
হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, জেরুজালেমে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। ইসরায়েলি বসতিতে হামাস যোদ্ধারা ঢুকে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
ইসরায়েলে হামলার কারণ জানিয়ে হামাস বলেছে, ‘দখলদার ইসরায়েলিদের সকল অপরাধ অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কোনো বিচার ছাড়া তাদের তাণ্ডব চালানোর সময় শেষ।’
হামাস আরও বলেছে, ‘আমরা অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড ঘোষণা করেছি এবং হামলা চালিয়েছি। প্রথম হামলার ২০ মিনিটের মধ্যে আমরা ৫ হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছি।’