শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

হামাসের শীর্ষ নেতার সঙ্গে হিজবুল্লাহ প্রধানের বৈঠক

১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ণ

লেবাননভিত্তিক ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের দুই শীর্ষ নেতা।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

এতে বলা হয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহ হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরি এবং ইসলামিক জিহাদের মহাসচিব জিয়াদ নাখলার সঙ্গে ‘গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও নিজেদের করণীয়’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তবে তাদের এ বৈঠক কোথায় হয়েছে সেটি উল্লেখ করেনি সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গাজা ও ফিলিস্তিনে জয় পাওয়ার জন্য এরকম স্পর্শকাতর মুহূর্তে প্রতিরোধ বাহিনীর কি করা উচিত সে বিষয়টি ধার্য্য করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের নাগরিকদের উপর ইসরায়েলের নৃসংশ হামলা বন্ধ করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার হাসান নাসরুল্লাহ হাতে লেখা একটি প্রশংসাপত্র প্রকাশ করে হিজবুল্লাহ। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রশংসা করেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর- ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো ভয় পাচ্ছে এতে যোগ দিতে পারে লেবাননের হিজবুল্লাহও। আর হিজবুল্লাহ যদি যোগ দেয় তাহলে ইসরায়েলকে দুই দিকে যুদ্ধ করতে হবে। যে বিষয়টি তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। হিজবুল্লাহকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে না জড়াতে বার বার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। ইরানকেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কূটনৈতিকরা।

এর আগে হিজবুল্লাহ বলেছে, ইতোমধ্যে তারা গাজা যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দিলেও এখান থেকে বেরুনোর সুযোগ নেই। বরং দখলদারদের (ইসরাইল) আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

এ ছাড়া গাজা উপত্যকাকে ফিলিস্তিনিরা দখলদার সেনাদের জন্য কবরস্থানে পরিণত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান-সমর্থিত সংগঠনটি।

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হাতে রয়েছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এসব অস্ত্র দিয়ে যেকোনো সময় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ব্যাপক হামলা চালাতে পারে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র এ গোষ্ঠী ।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক দিনে সর্বোচ্চ ৭৫৬ মৃত্যু। মোট মৃত্যু ৬ হাজার ৫৪৬। তাঁদের মধ্যে ২,৭০৪ শিশু ও নারী ১,৫৮৪।

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ