টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে প্রিয় প্রতিপক্ষের সামনে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সব হারানোর হারারেতে টাইগারদের লজ্জাই দিলো জিম্বাবুয়ে। বরং কিছুটা শিখিয়ে দিলো, হালের ক্রিকেটের নিয়মনীতি। কেবল ৩০০ ছোঁয়া স্কোর যে বর্তমান ক্রিকেটে বড্ড নাজুক, তাই যেন বুঝিয়ে দিলো রোডেশিয়রা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগাররা হেরেছে ৫ উইকেটে। এই হারে সফরকারিদের হাত থেকে ফসকে গেছে সিরিজটিও। দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে।
আগের ম্যাচে ৩০৩ করে পার পায়নি বাংলাদেশ। উইকেট খুইয়েছিলো মোটে ২ টি। সমালোচনা ছিল রান দ্রুত তুলতে না পারা নিয়ে। সেই সমালোচনা জিম্বাবুয়ে পর্যন্ত গেলো কি না কে জানে, আজ আরো বাজে ব্যাটিংই করলো বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম আজ অবশ্য স্ট্রাইক রেটের উন্নতি এনেছেন। তবে তার সঙ্গী বিজয় ছিলেন গড়পড়তা। মাঝে দলের চাপ বাড়িয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। মাঝে নাজমুল হাসান শান্তও খেলেছেন সাধারণ এক ইনিংস। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৮ করে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ দিকে চেষ্টা করেছেন। চেষ্টা করেছেন আফিফও। তবে মিডল ওভারগুলোয় ধীরলয়ের ব্যাটিংটায় এনে দিয়েছে ব্যবধান। ২৯০ এ থেমেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ৮০ রানে।
২৯০ রান তাড়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোর এক সময় ছিল ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৯ রান। সেখান থেকে রেজিস চাকাভা ও সিকান্দার রাজা করলেন শতক। গড়লেন ২০১ রানের রেকর্ড জুটি। পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ছিলেন সিকান্দার রাজা। গত ম্যাচের ১৩৫ এর পর আজ ১১৭। গতদিন ইনোসেন্ট কাইয়া ছিলেন সঙ্গী। আজ পেয়েছেন চাকাভার সঙ্গ। নিজের শতক পেরিয়ে চাকাভা যখন প্যাভিলিয়নের পথে, তখন জিম্বাবুয়ের জয় প্রায় নিশ্চিত।
ম্যাক্স শেষ করেছেন অভিষিক্ত টনি মুনিয়োঙ্গা। চার মেরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসা আফিফ হোসেনকে স্লগ সুইপে চার মেরে হারারেকে উল্লাসে মাতিয়েছেন মুনিয়োঙ্গা। ৫ উইকেটে জিতে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।