সোমবার দুপুর। অন্যান্য দিনের মতো শিশুরা অপেক্ষায় ছিলেন ছুটির ঘন্টা পড়ার। ঠিক ১০ মিনিট পর ছুটি কিংবা বিরতি। কিন্তু সেই বিরতিতে আর যাওয়া হলো না মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ছোট্ট শিশুদের। আকাশে উড়তে থাকা বিমান দেখে হয়তো তারাও তাকিয়েছিল বাইরে, সেই বিমানই ওপর আছড়ে পড়ে স্কুলের ভবনে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
সেই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শতাধিক হতাহত একজন রফিক রায়হান। পড়তেন
মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে। টঙ্গিতে বাবা মার সঙ্গে থাকতেন রফিক। স্কুল ছুটি হলেই ছেলেকে আনতে যাবেন এই অপেক্ষায় ছিলেন বাবা মনিরুল ইসলাম। কিন্তু আচমকা শোনেন বিস্ফোরণে কথা।
পাগলপ্রায় হয়ে খুঁজতে থাকেন ছেলেকে, পেলেনও বটে। তবে আগুনে দগ্ধ অবস্থায়। শুধু রফিক নয় সেখানে ছিল আরও আরও শিশুদের আগুনে পোড়া দেহ। রফিকের সাথে অ্যাম্বুলেন্সে আরেক শিশুকে নিয়ে ছুটে আসেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া সেই শিশুটি ততক্ষণে আর বেঁচে নেই।
হাসপাতালের বাইরে বসে এখন অপেক্ষা রায়হান রফিকের আন্টি। দুই হাত তুলে কাঁদছেন আর দোয়া কামনা করছেন ভাতিজার জন্য। বলছেন,’খোদা যেন ভাতিজাকে কষ্ট কমিয়ে দেন, সুস্থতা দেন।’
বাবা মা ছেলের সাথে হাসপাতালের ভিতের অবস্থান করছে,আর বাহিরে রফিক রায়হানের আন্টি অপেক্ষায় আছেন ভাতিজার সুস্থতার একটু খোঁজ নেওয়ার জন্য।