শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর, এবার আবারও ডাকসু নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন তিনি । তবে এবার আর স্বতন্ত্র থেকে নয় বরং বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ভিপি প্রার্থী হিসেবে।
প্রার্থী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামনে এসেছে তার পুরনো বক্তব্য, যা নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ের পর বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে ইমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য হিসেবে দেখতে চাওয়ার কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ছাড়া তখনকার ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতো না। তার ভাষায়, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডাকসু নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা থেকে তাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা উচিত।
সেই টকশোতেই উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তবে নুর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৩০ মে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয়। তবে ওই বিবৃতিতে নুর স্বাক্ষর করেননি। একইভাবে সমর্থন জানাননি তৎকালীন সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনও, যিনি বর্তমানে নবগঠিত এনসিপির সদস্য সচিব।
এই পুরনো বক্তব্য নতুন করে সামনে আসায় কিছুটা চাপের মুখে পড়েছেন ইমি। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপটি ইতোমধ্যে তার নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি সম্প্রতি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
সেখানে ইমি লিখেছেন, ১৯ সালে শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার ব্যাপারে আমার বক্তব্যের কিছু খণ্ডিত অংশ দেখলাম প্রচার করা হচ্ছে। অনেকেই এই ব্যাপারে আমার বর্তমান অবস্থান জানতে চাচ্ছেন। আমার অবস্থান আমি খুব পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই। আমি নিরপরাধ মানুষ এবং ছাত্রখুনের নির্দেশ দাতার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ফুলস্টপ।
নতুন অবস্থানে দাঁড়িয়ে ইমি এখন বাম জোটের হয়ে ডাকসুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে পুরনো অবস্থান ও নতুন অবস্থানের এই ফারাক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।