ভারত সরকার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন, এবং তখন থেকেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, আর এর পরই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। তবে, এসবের মধ্যেই ভারত সরকার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছে এমন কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও ভারত সরকার হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে, তবে এটি স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে, শরণার্থী হিসেবে হাসিনার অবস্থা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভিসা বাড়ানোর বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং এটি স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এই ব্যক্তিরা গুম এবং জুলাই মাসের গণহত্যার সাথে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে, যারা জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত এবং ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে যারা গুমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু সরকারের পক্ষ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে, এখনো ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া আসেনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, চিঠির কোনো উত্তর এখনো ভারত থেকে আসেনি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস