ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যকার আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের যোগাযোগের ‘উষ্ণতা এবং ফ্রিকোয়েন্সি’ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী অংশীদারিত্বের প্রমাণ।
ভারত জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে উদ্বৃত্ত জ্বালানি কেনার বিষয়ে আজ (৬ সেপ্টেম্বর) আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাসুদ বলেন, ‘আমরা অনুকূল শর্তে ভারতের উদ্বৃত্ত জ্বালানি পেতে পারি। আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করব।’