স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে তাদের নেতাদের মুক্তির জন্য আমাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করছি। আদালত তা বিবেচনা করে তাদের অনেককে মুক্তি দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ইফতারে অংশ নিয়ে ফেরার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনটা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সফর নয় ,তবে হেফাজতের প্রয়াত মুরুব্বি আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ও জোনায়েদ বাবুনগরীর (রহ.) কবর জিয়ারত করার আমার একটা ইচ্ছে ছিল বলে জিয়ারত করতে এসেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কারও কোনো বৈরি সম্পর্ক নেই। আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে চলি। হেফাজত একটি বড় ইসলামিক ভাবধারার সংগঠন। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে তারা ইসলাম ও দ্বীনের জন্য জন্য কাজ করে, এজন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
হাটহাজারী মাদ্রাসা শিক্ষা ভবনের দ্বিতীয় তলায় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে জঙ্গি উত্থানের পর সবাই কওমি মাদ্রাসার দিকে আঙুল তুলেছিল। আমরা তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম কওমি মাদ্রাসায় দ্বীন ও ইসলামের শিক্ষা দেওয়া হয়। এখানে জঙ্গির উত্থান হতে পারে না। এখন আমরা বলতে পারি, আলেম-ওলামাদের সহযোগিতায় আমরা জঙ্গি দমন করেছি। আমরা সব সময় আলেম-ওলামাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখনও বলেননি নুরানী মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবেন। কীভাবে নুরানি মাদ্রাসা চালু থাকবে, কীভাবে ধর্ম প্রচার হবে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করেন। কোরআন হাদিসের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নেব না। বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেই না।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম প্রমুখ।