রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। সেই হামলায় প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের ওই বেকারিতে পাঁচজন সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালায়। তারা নিরীহ মানুষদের হত্যার আগে জিম্মি করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির ৯জন, জাপানের সাত,ভারতের এক, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং দুজন বাংলাদেশি ছিল। এছাড়া হামলায় বাংলাদেশের দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।
পরের দিন ২ জুলাই ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে তিনজন বিদেশিসহ ১৩ জনকে উদ্ধার করে। এসময় ২০ জনের লাশ পাওয়া যায়। অভিযানে পাঁচ জঙ্গি এবং বেকারির এক কর্মচারী নিহত হন এবং সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলা ডিবিতে স্থানান্তর হয়। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী রিপন কুমার দাসের ট্রাইব্যুনালের সামনে জবানবন্দি দেয়ার মাধ্যমে এ চাঞ্চল্যকর মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়।
এই জঙ্গি হামলা মামলায় আদালত ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মাহমুদুল হাসান মিজান, সোহেল মাহফুজ, রাশিদুল ইসলাম ওরফে রায়াশ, হাদিছুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ। এদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
হামলার পেছনে ২১ জন জড়িত বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ জন নিহত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।