তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা সরকার গঠন করার আগে দেশে ৪০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আজকে শতভাগ মানুষের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়।
প্রধানমন্ত্রী যথার্থই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। সমালোচকদের অনুরোধ জানাবো তারাও যাতে এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে এবং জ্বালানি ও এর পরিবহন মূল্য দুটিই অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আজকে অস্ট্রেলিয়াতে লাখ লাখ পরিবারকে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য। সেখানে কোনো অঙ্গরাজ্যে ১০ ঘণ্টা, কোনো অঙ্গরাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। ইউরোপে, যেখানে কোনো সময় বিদ্যুৎ যায় না সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সের মতো দেশেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে বিদ্যুৎখাত মূলত জ্বালানিনির্ভর। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ সব কেন্দ্র পুরোপুরিভাবে উৎপাদনে আসেনি। এ কারণে সরকার গত বছর বিদ্যুৎখাতে ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানিখাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এরপরও উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হ্যারিকেন এখন সাজিয়ে রাখার বিষয়, কারণ হ্যারিকেনের ব্যবহার নেই। আমরা সরকার গঠন করার আগে দেশে ৪০ শতাংশের কম মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো। আজকে শতভাগ মানুষের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। কিন্তু দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও সেটি সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার আহ্বান কোনোভাবেই ভুল নয়। অর্থাৎ আমি যখন রুমে থাকবো না তখন বাতিটা জ্বালিয়ে রাখা বা পাখাটা চালিয়ে রাখা কখনই সমীচীন নয়।