প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ২০১৩-১৫ সালে বিক্ষোভের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ভয়াবহ দিনগুলো ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দেশের জনগণকে সতর্ক করতে চাই, যাতে কেউ আর এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী ঢাকার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিসংযোগ, সহিংসতার শিকার: বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি হামলা, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আংশিক দৃশ্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় প্রায় ৫০০ মানুষ দগ্ধ এবং ৩৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। ‘আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং তাদের চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, কিন্তু যারা তাদের প্রিয়জন হারিয়েছেন তাদের বেদনা ও কষ্ট দূর করা সম্ভব নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দগ্ধ হয়েছে তাদেরও স্বপ্ন ও আকাঙ্খা ছিল, কিন্তু তাদের আকাঙ্খা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমি দেশের জনগণকে বলতে চাই সেই ভয়ানক সময় কেউ যেন ভুলে না যায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো আপত্তি নেই (সুস্থ রাজনীতি নিয়ে)। তবে কেউ মানুষের ওপর হামলা করলে তাদের (হামলাকারীদের) রেহাই দেয়া হবে না। এগুলো (প্রতিহিংসা) সহ্য করা যায় না। কোন মানুষ এটা সহ্য করতে পারে না।’.
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের জীবন ও জীবিকার অধিকার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব আছে।’
২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার শিকারদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।