রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর আহত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ওই স্কুলের শিক্ষিকা মাহেরিন চৌধুরী।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিমান বিধ্বস্তে আগুনে তার শরীরের ৮০ শতাংশ ঝলসে যায়। এরপরও নিজের বিপন্ন অবস্থায় ২০ শিশুকে নিরাপদে সরিয়ে নেন শিক্ষক মাহেরিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি এলাকার মেয়ে। তিনি স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
পাশাপাশি মাহেরীন চৌধুরীর পারিবারিক পরিচয়ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। তার বাবা মহিতুর রহমান জিয়াউর রহমানের খালাতো ভাই। দাদি রওশানারা চৌধুরী ছিলেন জিয়াউর রহমানের খালা। বাবা মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরী দুজনই সমাজসেবায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
মাহেরীন চৌধুরীর মরদেহ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় তার বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাছে জানাজা শেষে পারিবারিব কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হয়।