শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
Homeজাতীয়২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় আজ

বহুল আলোচিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আপিলের রায় আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। বিচারিক আদালতের দেয়া রায় বহাল থাকবে কি না জানাবেন হাইকোর্ট।

রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় রেখেছেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ।

গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। এরপর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য সুনির্দিষ্ট দিন ধার্য না করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকায় মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আসল।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের কৌঁসুলিরা আসামিদের সাজার রায় বাতিল করে খালাস দেওয়ার আবেদন করেছেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মো. শিশির মনির।

এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। 

এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরাদের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক উদ্দেশে যাদের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে তারা সবাই খালাস পাবেন।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান বলেন, মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই অভিযোগপত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া হয়নি। সরাসরি জজ আদালতে দেওয়া হয়। সে জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এটা গৃহীত হতে পারে না। এছাড়া ঘটনাস্থলে কে গ্রেনেড হামলা করেছে তা চিহ্নিত করা যায়নি। এ  নিয়ে কারো সাক্ষ্য বা কোনো আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেই। তারেক রহমানের বিষয়ে শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, যদিও ওনার কোনো আপিল আদালতের সামনে বিচারাধীন নেই। কিন্তু আদালত যদি মনে করে যে, এ মামলার কোনো আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি বা দায়সারা গোছের চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে মামলা প্রমাণ না হলে, খালাস পাওয়ার যোগ্য হলে আদালত খালাস দিতে পারে। এটা ভারত, পাকিস্তান ও আমাদের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নজির আছে৷

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক।

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ