২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ ও ফৌজদারি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি মনে করি এজন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সোমবার(২২ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘বিএনপি নেতা রিজভী ২১ আগস্টের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ও বিদেশিদের দায়ী করছেন’ প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, মামলার সাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার হয়েছে। বিচারে অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, যেটি আদালতে মীমাংসিত এবং আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত সেটি নিয়ে এ ধরনের কথা বলা আদালতের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ।
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান– সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা বিষয়ে– সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সেচের সুবিধার্থে, কৃষির সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমানোর জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভর করে। এ সময় সেচের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ধান বুনতে এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না।
তিনি জানান, এখন যদি তাদেরকে আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই সেটি যে খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০-১৫ দিন পরে দেওয়া শুরু করলে ততো কাজে লাগবে না। উন্নত দেশসহ সমগ্র পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে তিনদিন স্কুল করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো বিদ্যুৎ যায়নি সেখানেও নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খরা চলছে। আমাদের দেশে যাতে সে কারণে ফসলহানি না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী সফেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড.খান আসাদুজ্জামান রচিত ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রকৃতপক্ষে ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালজয়ী ভাষণ জানিয়ে তিনি বলেন, যে ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে তিনি শ্লোগান শিখিয়েছিলেন- বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি অনন্য ভাষণ।
এ বিষয়ে কাব্যগ্রন্থ রচনা করার জন্য ড. খান আসাদুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রকাশকসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইর প্রতি ধন্যবাদ জানান৷
এ অনুষ্ঠানে সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন (সফেন) ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া বিশেষ অতিথি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মজনু এবং এফবিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য রানা চৌধুরী।