দীর্ঘ ৬ বছরের বিরতির পর বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের নজর স্বভাবতই এই বৈঠকের দিকে ছিল, ইউক্রেনীয়দের কেউ কেউ হয়তো প্রত্যাশা করেছিলেন ট্রাম্প-পুতিনের লম্বা বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে সমাধান আসবে। তবে সেই প্রত্যাশা পুরণ হয়নি ইউক্রেনের বাসিন্দাদের। এই ইস্যুতে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অবশ্য বৈঠকের শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি না হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
বিপরীতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে মস্কোর আগ্রহ আছে। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর কারণ অনুসন্ধান করে তা নিরসন করার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্রদের সতর্ক করে বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে তাদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মস্কোতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে করমর্দন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০১৯ সালের পর এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় এলমেনডর্ফ–রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে ট্রাম্প–পুতিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নেন। অপরপক্ষে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।