নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রায় ৪৩ লাখ টাকার দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে আর্থিক অনিয়ম, হিসাব জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর কাওসার হামিদ চৌধুরী জিকুকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে জিকুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। ওই অর্থ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা হয়। পরে নির্দেশনা দেয়া সত্ত্বেও ওই টাকা নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি।
এছাড়া সাম্প্রতিক অডিটেও বিভিন্ন খাত মিলে ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক গরমিল ধরা পড়ে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তার পিতা এক মাসের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারে তাকে নিজের জিম্মায় নিয়েছেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী বলেন, হিসাবে গরমিল এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বাবা এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে ছেলেকে জিম্মায় নিয়ে যান। ইতোমধ্যে আমরা আরেকটি নোটিশ দিয়েছি। তাতে বলা হয়েছে কেউ যাতে তার সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়।
তিনি আরও জানান, অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে তদন্ত কমিটি করা হবে। এ ঘটনায় জিকু এককভাবে দায়ী, নাকি এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।