৬ দফা দাবি নিয়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু করেন।
কর্মসূচিটি বিডিআর কল্যাণ পরিষদ আয়োজন করেছে এবং তাদের দাবি হচ্ছে, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল করা, কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং অন্যান্য ৬ দফা দাবি। বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিরপরাধ জেলবন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত এবং যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সরকারি ক্ষতিপূরণ সহ দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহাল করা উচিত। তিনি আরও বলেছেন, ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া হবে এবং যদি এই সময়ে সুখবর না আসে, তাহলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. পিলখানার ঘটনা তদন্তে গঠিত ১৮টি বিশেষ আদালত এবং অধিনায়ক কোর্টে যেসব বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
২. খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
৩. গঠিত কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে এবং নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিতে হবে।
৪. পিলখানায় নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ ৭৪ জনের হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং কারাগারে মারা যাওয়া বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করে দায়ীদের শাস্তি দিতে হবে।
৫. বিডিআরকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ধারণ করে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৬. পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শহীদদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এখন, বিডিআর সদস্যরা শহীদ মিনারে তাদের দাবি আদায়ের জন্য লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এবং তাদের দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চাচ্ছেন।