দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি ৮ সপ্তাহ মুলতবির আবেদন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এ সময় চেয়েছেন। তার পক্ষে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান।
রোববার (১২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
গত ৬ নভেম্বর দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানীয়া আমীর ও আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান।
সেদিন তানীয়া আমীর গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের আদালত অবমানার ও নিষেধাজ্ঞার আবেদন ছিল। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মুলতবির একটি আবেদন আছে। ওনাদের আইনজীবীর ব্যক্তিগত সমস্যা। আমি আদালতকে বললাম আদালত অবমানার আবেদন আগে শুনানির জন্য। আদালত বললেন, হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা?। আমরা তখন বললাম হ্যাঁ। তখন আদালত বললেন, পুরো হাইকোর্টের রায় দেখতে আমাদের সিপি (লিভ টু আপিল) শুনতে হবে। ১২ তারিখ মূল মামলাটাই শুনে ফেলি।
তানীয়া আমীর আরও বলেন, তখন আমরা বললাম ইন দ্য মিন টাইম (১২ তারিখ পর্যন্ত) আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখেন। কারণ তারা নাশকতা করছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। আদালত বলেছেন, অসুবিধা নেই, চিন্তা কইরেন না ১২ তারিখ কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে। তখন আমি বললাম, আপনাদের অসীম ধৈর্য আছে। আদালত বললেন, মূল মামলা শুনানি হয়ে যাবে।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনটির শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন রেখেছিলেন আপিল বিভাগ।