বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার ৬টি ও রমনা থানার ৩টি মামলা রয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ আদেশ দেন।
তবে এ দুই থানার নাশকতার দুই মামলায় কারাগারে থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে বিচারক গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী তা নিষ্পত্তিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) সম্প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার এসব মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মির্জা ফখরুল। রিটে পল্টন থানার ৭ এবং রমনা থানার ৩ মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ফখরুলের বিরুদ্ধে এ মামলাগুলোতে জামিন আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্ট হাকিম আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে তখন রুলও জারি করেছিল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ।
হাকিম আদালত রমনা ও পল্টন থানায় করা ১০ মামলায় মির্জা জামিন আবেদন গ্রহণ না করায় ১৪ ডিসেম্বর রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
১০ মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা রিট আবেদনে বলা হয়।
এর মধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোয় ৯ মামলার ক্ষেত্রে জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে তা নিষ্পত্তি করতে হাকিম আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।