জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সৈকত ইসলামকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বাগছাসের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা বাকস্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার পরিবেশ অর্জন করেছি। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অসংগতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার আমাদের মানবিক মর্যাদার অংশ। বিগত পনেরো বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা শাসনামলে এই অধিকার বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সেই ভয় আর শঙ্কার পরিবেশে ফিরতে চাই না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা বিগত পনেরো বছর ধরে নিপীড়নের মধ্যেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে চলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালীন সময়েও সাহসী সাংবাদিকতা এবং তাদের গুলিবিদ্ধ রক্তাত্ত ছবি আমাদের দ্রোহের অনুপ্রেরণা হিসেবে হাজির হয়েছে। কিন্তু আজও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। বাগছাস এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিক সৈকত ইসলামসহ সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন অসংগতি ও অর্থ বণ্টন সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশিত হয়। জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘আওয়ামী এমপিকে পুনর্বাসন/ভাগ বাটোয়ারার দ্বন্দ্বে জাবিতে ছাত্রদলের ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অর্থ বণ্টন নিয়ে শাখা ছাত্রদলের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক, আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
সেই সাথে অনুদানের আড়ালে সাবেক এক আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ এমপিকে পুনর্বাসনের অভিযোগও উঠে আসে।
প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাগোনিউজ২৪.কম থেকে সংবাদটি সরিয়ে নেওয়া হয় এবং প্রতিবেদক সৈকত ইসলামকে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যক্তিগত হুমকি প্রদান করা হয়।