এবার চ্যাটজিপিটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তির মন্তব্য, চ্যাট জিপিটির এই প্রযুক্তি বিশ্ব বদলে দেবে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জার্মান বাণিজ্যিক সংবাদপত্র হ্যান্ডেলসব্ল্যাটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
গেটস বলেন, এখন পর্যন্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল পড়তে ও লিখতে পারত, তবে লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পারত না। চ্যাটজিপিটির মতো নতুন প্রকল্পগুলো ইনভয়েস বা চিঠি লেখায় সহায়তা দিয়ে বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করে তুলবে।
মার্কিন বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেটস বলেন, মানুষের জন্য কিছু চমকপ্রদ বিষয় রয়েছে চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন এআই টুলের। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষক হিসেবে কাজ করা বা যারা ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি এখন পিসি-ইন্টারনেটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে, জানুয়ারিতে ওপেনএআইর পেছনে কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই অঙ্ক গিয়ে এক হাজার কোটি ডলারেও ঠেকতে পারে। ২০১৯ সালে এআই কোম্পানিটির পেছনে একশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট।
২০২২ সালের নভেম্বরে সফটওয়্যার কোম্পানি ওপেনএআইর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে চ্যাটজিপিটির। এআইনির্ভর সফটওয়্যার তৈরির এই কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে মাইক্রোসফটের। উন্মোচনের কেবল দুই মাসের মধ্যেই আনুমানিক ১০ কোটি ব্যবহারকারী পেয়েছে এই চ্যাটবট। ফলে, এটি সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুতগতির অ্যাপের খেতাব পেয়েছে।
বিভিন্ন কাভার লেটার লেখার সক্ষমতা, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পরীক্ষায় পাশ করা, এমনকি কোডিংয়ের বেলাতেও চ্যাটবটটির বিস্তৃত ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন বাণিজ্যিক সংবাদ সাইট ইনসাইডার।