আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দেশে তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যসচিব বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। এর প্রতিফলন আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে দেখা যাবে। তেলের দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, কমে আসবে বলাই যায়। তবে কতটা কমবে, তা বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ট্যারিফ কমিশন প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিলমালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর মন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন,আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে। তবে আমাদের দেশে তেল আসে প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫-৬০ দিন সময় লেগে যায়। এখানে সময়ের গ্যাপ রয়েছে, তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না।
তিনি বলেন, তবে সুখবর হলো এখন ইন্দোনেশিয়া থেকেও দেশের বাজারে কিছু তেল আসে। তবে এক্ষেত্রেও ১৫-২০ দিন সময় লাগে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যেমন কমেছে, ডলারের দাম কিন্তু বেড়েছে। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই দুটি বিষয়ের সমন্বয় করে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।
তেলের দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীদের যে তোড়জোর দেখা যায় কমানোর সময় সে তোড়জোড় দেখা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক রয়েছে। বিক্রেতা সব সময় বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে চায়, আর ক্রেতা কম দামে কিনতে চায়। এজন্যই এই ধরনের আচরণ দেখা যায়। আর তাই সরকার হস্তক্ষেপ করে (দাম নির্ধারণে)।