বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আরও গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি হচ্ছে একটি প্রতিবন্ধকতা এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত এবং সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সমস্ত প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে। তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায় বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরণের বক্তব্য রাখে।
বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পৃথিবীর সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার পদত্যাগ করে না বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে এবং উনারা পাকিস্তানকে পছন্দ করেন তো সে জন্য পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশে তারা চাইলেও কোন কিছু হবে না।
ড. হাছান বলেন, বিএনপির মুখে ‘বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না’ এটা ১৪ বছর থেকে শুনছি। সেটি করতে গিয়ে দেখা গেল বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণের কাছে বিএনপির পতন হয়ে গেছে।