31 C
Dhaka
Friday, September 20, 2024

বগুড়া মেডিকেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮

ডেস্ক রিপোর্ট:

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিও। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শজিমেকের একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মেডিকেল কলেজটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

শজিমেক ছাত্রবাসে থাকা এক শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ২০২৩ সালে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ভর্তি হতে আসা ৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মধ্য রাতের দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়৷

এবিষয়ে শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না৷ 

শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথমে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।  

বগুড়া ছিলিমপুর (শজিমেক হাসপাতাল) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে৷ এ ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নামধারী ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে বরিশাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৫  জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।    সোমবার(২৯...

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক। আজ...

কেমন ছিল বুধবারের আন্দোলন, যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি সহিংসতাময় দিন পার হলো বুধবার। দিনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছেদের অভিযান। রাতে বেগম রোকেয়া হল...