‘স্যার কখনো আমাকে ড্রাইভারের চোখে দেখেননি, পাশে বসিয়ে খাওয়াতেন। সব সময় বাচ্চাদের পড়াশোনার খবর নিতেন। বাচ্চাদের জন্য খাবার দিতেন’, কান্নারত অবস্থায় কথাগুলো বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গাড়িচালক রফিকুল ইসলাম।
বুধবার সকালে জাফরুল্লাহর মরদেহ শহিদ মিনারে নেওয়া ও জানাজা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই কাঁদতে দেখা যায় মো. রফিকুল ইসলামকে।
ডা. জাফরুল্লাহর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিন রফিকুল ডা. জাফরুল্লাহকে গাড়ি পুরোনো হয়ে যাওয়ার কথা বলায় তিনি উত্তর দিয়েছিলেন- ‘তুমিও তো পুরোনো হয়েছ, তোমাকে কি ফেলে দেব?’ ২০০৫ সাল থেকে জাফরুল্লাহর গাড়ি চালক হিসেবে তার সাথে ছিলেন রফিকুল।
রফিকুল বলেন, সব জায়গায় আমি তাকে নিয়ে গেছি। দুর্যোগের রাতে, ঝুঁকি মাথায় নিয়ে আমি স্যারকে নিয়ে যেতাম। রাত একটা-দুইটায়ও তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি।
‘স্যারের শরীর খারাপ থাকত বলে তিনি মাঝে মাঝে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে যেতেন। গাড়িতে অসুস্থ হলে আমি সামলাতাম’ বলেন ডা.জাফরুল্লাহর গাড়ি চালক৷