ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্য ও তাঁদের গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হামলা করেছে মাওবাদী বিদ্রোহীরা। হামলায় ব্যবহার করা হয় ৫০ কেজি শক্তিশালী বিস্ফোরক।
মাওবাদীরা যারা নকশাল নামেও পরিচিত, তারা কয়েক দশক ধরে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে আসছে। তাদের সশস্ত্র আন্দোলনের সূত্রপাত গত শতকের ষাটের দশকে। এর পর থেকে সশস্ত্র মাওবাদীদের হামলায় কয়েক হাজার প্রাণহানি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাওবাদীদের তৎপরতা ছিল কম।
বুধবারের এ হামলায় গত দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটল। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, হামলায় নিহত ব্যক্তিরা রিজার্ভ পুলিশ সদস্য। বিদ্রোহীদের গতিবিধি নজরদারিতে প্রত্যন্ত জেলা দান্তেওয়াড়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে তাঁদের গাড়িতে হামলা হয়।
ছত্তিশগড় পুলিশ কর্মকর্তা বিবেকানন্দ বলেন, ‘একটি অভিযান শেষে ফিরে আসার সময় তাঁদের (নিহত পুলিশ সদস্যরা) গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।’
এনডিটিভিতে প্রচারিত ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, হামলাস্থলে একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন গাড়ির বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। তিনি বলেন, এমন হামলা খুবই দুঃখজনক। নকশালপন্থীদের দমনে অভিযান আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান তিনি।
হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘দান্তেওয়াড়ায় পুলিশের ওপর কাপুরুষোচিত হামলায় আমি মর্মাহত। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’