মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপানে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাকাকালে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার টোকিওতে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান। চারদিনের সফর শেষে শুক্রবার বিকেলে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছাড়েন তিনি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে অনেক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য শরণার্থী শিবির পরিচালনার খরচ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বৈঠকে উভয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করতে সম্মত হয়েছেন।
২০২৬ সালের মধ্যে জাপানের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করতে চান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ তরুণ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তরুণ-দক্ষ জনশক্তির বিশাল বাজার রয়েছে।