তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং শিগগিরই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গনেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলেছেন, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না, এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে, সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে, তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়।
জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে।
ড. হাছান বলেন, ‘নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝেমধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।
ভূরাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না, এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপির অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি না–ও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে।