বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হচ্ছে আজ। দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। আজ শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের ১১.৫ কিলোমিটার অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আগামীকাল থেকে এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট, যা যানজটের কারণে এখন প্রায় ১ ঘণ্টার মতো লাগে।
শহরের যানজট নিরসনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পরে এটির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটাই প্রথম প্রকল্প।
সম্পূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে গাড়িতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী। টোল পরিশোধ করে বিজয় সরণি প্রান্ত দিয়ে নেমে যাবেন আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।
উদ্বোধনের জন্য এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশ প্লাকার্ড ও পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। তবে, আগামীকাল সকাল ৬টায় জনসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার আগে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পিপিপি প্রকল্পের ৩টি প্রাইভেট অংশীদারের মধ্যে একটি চীনা ফার্ম ‘চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশন’ এই কন্ট্রোল সেন্টারটি পরিচালনা করবে।
কুড়িল, বনানী, মহাখালী এবং তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।
পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে ওঠা নামার জন্য মোট ১৫ টি র্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প আগামীকাল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৩ চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। অন্যান্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।