এশিয়া কাপের শুরুটা স্বল্প পুঁজিতে হারের পর অনেকটাই নাজেহাল অবস্থায় পড়েছিলো সাকিবরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদী মিরাজ এবং নাজমুল হাসান শান্তর ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৩৩৫ রানের বড় লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে টাইগাররা৷ ৫০ ওভার খেলা শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে এশিয়া কাপের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব। তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিলো না, সেটি বড় সংগ্রহে প্রমাণ করেন শান্ত-মিরাজরা।
নাইম শেখের আগ্রাসী ব্যাটে শুরুটা সুন্দরই থাকে। পাশে থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন মিরাজ। অন্যদিকে ছন্নছাড়া বোলিং করতে থাকে আফগানিস্তান। নাইমের সঙ্গে ধীরে ধীরে রান তোলার গতি বাড়ান মিরাজও। তবে ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে আউট হন নাইম। দলীয় ৬০ রানে ৩২ বলে ২৮ রান করে আফগান স্পিনার মুজিবুরের বলে বোল্ড হন তিনি।
নাইমের বিদায় নিলে তাওহিদ হৃদয়ও ক্রিজে এসেওল নিজের খাতায় কিছু যোগ করতে না পেরে সাজঘরে ফিরে যান। হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন তিনি। ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন মিরাজ। এরপর দুইজন শতক হাকিয়ে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। তবে মিরাজকে মাঠ ছাড়তে হয় চোট নিয়ে।
প্রাথমিক অবস্থায় চোট কতটা গুরুতর, বুঝা যায়নি। ১১৯ বলে ১১২ রান করে উঠে যান। তাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল, ৩টি ছক্কার মার। আর শান্ত আউট হয়েছেন ১০৪ রানে। রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন তিনি।
শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কেউই। আসা যাওয়ার মিছিলেও অবশ্য সচল ছিল রানের চাকা। সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম খেলেছেন কার্যকরি ইনিংস। সাকিবের স্কোর ৩২ আর মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান।