31 C
Dhaka
Friday, September 20, 2024

সানজিদাকে নিয়ে সেদিন যা ঘটেছিল, বললেন বারডেমের নিরাপত্তা কর্মকর্তা

ডেস্ক রিপোর্ট:

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বারডেমের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী।

সেদিন বাস্তবিক অর্থে সেখানে কী ঘটেছিল তা তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন তিনি। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করে চিঠি দেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়, শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে আসা একদল দর্শনার্থী ইটিটি (এক ধরনের শারীরিক পরীক্ষা) কক্ষের সামনে মারামারি করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করে এসে তিনি এই মারামারি দেখতে পান। দুই পক্ষকে অনুরোধ করে তিনি মারামারি থামাতে সমর্থ হন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়।

এতে ওয়ারেছ আলী বলেন, মারামারিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে, প্রথমে তারা পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অনুরোধ করলে তারা পরিচয় দেন।

সে অনুযায়ী, একজন রাষ্ট্রপতির এপিএস (একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক) এবং অন্যজন হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশিদ)। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রমনা ও শাহবাগ থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার বর্ণনায় এডিসি সানজিদা গণমাধ্যমকে জানান, হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই। আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়।

আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি। এসময় আমার হাজব্যান্ডের কথা শুনতে পাই। পরে কয়েকজন মিলে এডিসি হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল। আমি তাদের কাউকে চিনি না।

আলোচনার সূত্রপাত

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। তাদের গুরুতর আহত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেই শুরু হতে থাকে আলোচনা–সমালোচনা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

সর্বশেষ সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নামধারী ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে বরিশাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৫  জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।    সোমবার(২৯...

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ

ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষক। আজ...

কেমন ছিল বুধবারের আন্দোলন, যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি সহিংসতাময় দিন পার হলো বুধবার। দিনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছেদের অভিযান। রাতে বেগম রোকেয়া হল...