জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি) গত ২০ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাংবাদিক আসিফ আল মামুনকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের কাউন্সিল কক্ষের সামনে সিন্ডিকেট সভা চলাকালীন সময়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অন্যান্য দাবিগুলো হলো,যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির শাস্তি, নিজেদের খায়েশ মত গাছ কাটা বন্ধ করে দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা, জাবির সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি সৌমিক বাগচীকে হামলার দায়ে চিহ্নত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের (একাংশ) আহব্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, উপাচার্যকে নিয়ে বাজে মন্তব্যকারী ও যৌন নিপীড়ক জনির বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। স্ট্রাকচার কমিটি হওয়ার আড়াইমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে তার বিভাগে ক্লাস নিচ্ছে। তার ফাঁস হওয়া অডিওতে যে চার-পাঁচ জনকে ইঙ্গিত করে হুমকি দিয়েছে তারাই মূলত তাকে এই সুযোগ দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া সোহাগী বলেন,আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে গাছ কাটা হচ্ছে। যৌন নিপীড়ক শিক্ষক শাস্তি না পেয়ে স্বাধীনভাবে একাডেমিক কাজ করছে। সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন কোন বিচার করছে না। আমরা বলতে চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারপ্ল্যান ব্যতিত কোন ভবন নির্মাণ চলবে না। নির্বিচারে গাছ কাটা চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নিপীড়ক শিক্ষক হিসেবে থাকতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন যদি সন্ত্রাসীদের বিচার করতে না পারে তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জলসিড়ির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক প্রমুখ।