স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে।
মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কারওয়ানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য ডিস্ট্রিবিউশন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কারওয়ান বাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য যেমন কষ্টকর হয়। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আবার খুচরা বাজারে পৌঁছাতে অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। কারওয়ানবাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কিভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে সকল ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চলে আসবেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মানুষেরও ভোগান্তি না হয়। তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে সে চলে যাবে না। আরে গেলে কোথায় যাবে। কিন্তু তাদের জন্য জায়গা দেয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তাহলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিনতলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক না। কিন্তু এখানে এধরনের ভবন করার কারণ ওপরে ইলেক্ট্রিকসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়া-ই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এলক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরও কাঁচা বাজার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।