দেবিদ্বার প্রতিনিধি: দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১১ নং রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার বেলা পৌনে ৩টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কুমিল্লা উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার ১১নং রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে সি. আর-৪১৬/২০২১ নং মামলায় গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে গত ৩১ জানুয়ারী বুধবার তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও অপসারিত চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা সমর্থকদের উপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় কুমিল্লার দেবিদ্বার থানায় আরো একটি মামলা এফআইআর করা করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর সোমবার বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের রাজামেহার গ্রামের নিজামুদ্দিন বাড়ীতে ড্রেনমার্ক প্রবাসী আলাউদ্দিনের নতুন বাড়ি নির্মানের সময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন সরকার তার দলবল নিয়ে আলাউদ্দিনের বড়বোন জাহানারা বেগমের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মানাধীন বাড়ি ভাঙচুরসহ হামলা করে ওই নারীকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করে। ওই হামলায় ওই নারী সে সময় ৯৯৯ নম্বর জরুরী সেবায় ফোন করে পুলিশের সহযোগীতায় মুক্ত হয়। একই বছরের ২ ডিসেম্বর কুমিল্লার ৪ নং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১১ নং রাজামেহের ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গত ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রতিবেদন দাখিল করায় গত বছরের ৯ মে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চুলাশ গ্রামের মো. তাজুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের দাবিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আবেদন করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে এমন কোন চিঠি আমি পাইনি, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। ‘আমি কোনো দূর্নীতি করিনি; বহিষ্কারের বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হব।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ১১ নং রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যানের সাময়িক বহিস্কারের কোন চিঠি এখনো পাইনি।