ঢাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক ধর্ষণ ও রাজধানীর কায়েতটুলী ফাঁড়ির পুলিশ কর্তৃক বডি-বিল্ডার ফারুকের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।
কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম হাতিয়ার ছাত্রলীগ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদেট বাপদাদার সম্পত্তি মনে করছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার একদিকে দলকানা শিক্ষকদেরকে দিয়ে প্রশাসন তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে আর ছাত্রলীগ প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় যা খুশি তাই করছে।
গতকাল আমরা দেখলাম ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নারীর স্বামীকে হলে বেঁধে রেখে সেই নারীকে হলের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। যখন সেই ধর্ষকদের গ্রেফতার করা হলো তখন কিছু অসভ্য শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতারা সেই ধর্ষকদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ছাত্রলীগ সিলেটের এম সি কলেজে এক নারীকে গণধর্ষণ করেছিলো।
এই ছাত্রলীগের হাতে লেগে আছে বিশ্বজিতের রক্ত, এই ছাত্রলীগের হাতে লেগে আছে আবরার ফাহাদের রক্ত। এই ছাত্রলীগের কোন শিক্ষার্থী বান্ধব কাজ নেই। তাদের কাজ চাঁদাবাজি করা, তাদের কাজ মাদক বানিজ্য করা, হলে ক্যাম্পাসে দখলদারিত্ব কায়েম করা। আমরা দেখছি এই ছাত্রলীগের লাইসেন্স নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করছে। যেমনটি আমরা দেখলাম চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক একজন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছে। অবিলম্বে এসব শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমরা দেখছি, বংশাল থানার কায়েতটুলী ফাড়িতে একজন বডিবিল্ডারকে হত্যা করে তার স্ত্রীকে থানায় আসতে বলা হয়, তার স্ত্রী থানায় গেলে তাকে তাঁকে ফাড়ির দুই এস আই এক লক্ষ্য টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং তাকে বলেন, আপনি সুন্দর, আপনি আমাদের সাথে থাকেন। এসব চরিত্রহীন লম্পট পুলিশদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে পুলিশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রোগ্রামে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এম এম সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আসান বিন রনি, সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।