বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। বাংলাদেশ গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। বিশ্ববাসী জানে যে, গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি এ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে অংশ নেন জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮ দেশের প্রতিনিধিরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।
ইংরেজি ভাষায় লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল কূটনীতিকদের বলেন, অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি— যার মধ্য দিয়ে প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতক্ষণ আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততক্ষণ জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অসহিংস আন্দোলন চলবে।
মির্জা ফখরুল এ সময় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত। গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রের কৌশলই এই সংকটের সমাধান হতে পারে।