সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
যে কোনো প্রকল্পের প্রভাব ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়ন করার আহ্বানও জানান তিনি।
রবিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত এবং আমরা এটাকে দেশের একটি আইডল সিটিতে পরিণত করতে পারি। সে জন্য চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখার প্রয়োজন। যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
খাল ও ড্রেনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কেউ কেউ খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না,সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এসময় মন্ত্রী সকল খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন।
আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে আমাদের আগামী প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর দেশ পাবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে একটি বড় সমস্যা। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনা অনুযায়ী এই সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।