এস এম সাইফুল ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-এর মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনের ইশতিহারে কুরআন বিরোধী সংবিধান করবেন না বলে জাতির সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে সেই ওয়াদা ভঙ্গ করে ১৯৭১ সালের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মতো কুফরি মতবাদকে যুক্ত করে তিনি জাতির সাথে গাদ্দারি করেছেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদ এর মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের কাঁধের ওপর ফ্যাসিবাদ চেপে বসলো। ৭২ থেকে ৭৫ এর সেই কালো শাসন আবারও এ দেশের মানুষের উপর এলো। এবার আর তিন বছর নয়, এবার থাকলো ১৫ বছর। এই ১৫ বছরে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসকে সংবিধান থেকে উৎখাত করে দিয়ে কুফরি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংবিধানে ফিরিয়ে আনা হলো। আর ধীরে ধীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার সবগুলো প্রচেষ্টাকে গলা চেপে হত্যা করার পাঁয়তারা চালানো হলো।
তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশকে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে শিরকি আইন তৈরি করবার অভিশপ্ত ধারায় বাংলাদেশের ১৮ কোটি মসুলমানদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আমরা বন্দিত্ব থেকে মুক্তি চাই। বাংলাদেশের সংবিধান যখন সংস্কার হবে তখন একটি ধারা সংযুক্ত করতে হবে। আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে কোনো আইন চলবে না, কোনো নীতিমালা চলবে না, কোনো বিধান চলবে না। এসব থাকলে তা বাতিল ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে। আল্লাহর কোরআন ও নবীর সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন বাংলার মাটিতে থাকবে না। এই বাংলাদেশ আগামী দিনের ইসলামের বাংলাদেশ হবে। বাংলাদেশের চিরন্তন গন্তব্য হবে ইসলাম।
উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন কর্তৃক চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা প্রসঙ্গে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, শহীদ আলিফদেরকে হত্যা করে তৌহিদের জাগরণ বন্ধ করা যাবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের সন্তানেরা তৌহিদের চেতনা নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। তাদের জোয়ার স্তব্ধ করে দিতে পারবে না। আলেমসমাজ বিপ্লবের জন্য তৈরি হন, জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ দেশ থেকে কোরআন ও ইসলামবিরোধী প্রতিটি অপশক্তির শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।