বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
Homeসারাদেশঅব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা

অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা

বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে চাকরি ফিরে পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পালন করছে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মামুনুর রশীদ মামুন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে গত দুই দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অভিযোগে চাকরি হারানো ৩২১ জন পুলিশ এসআই।

জানা গেছে, মামুনুর রশীদ মামুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং পরবর্তী কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তৃতীয় কমিটিতে সভাপতির পদ প্রত্যাশা করলেও তা না পেয়ে লভিং করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ পান বলে অভিযোগ রয়েছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জানান, মামুন ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের মারধরের মতো নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হলে সিট বাণিজ্য এবং মাদক সেবনের ঘটনা।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন দিনাজপুরের বাসিন্দা মামুন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হুসাইন বিপুর সঙ্গেও তার সখ্যতা ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, ‘মামুন খুব প্রভাবশালী ছিলেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না।তিনি ক্ষমতার প্রদর্শন করতে নিয়মিত খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করতেন।’

অভিযোগ রয়েছে, মামুনুর রশীদ মামুন অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ পান। এ নিয়োগে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সুপারিশ ছিল বলে জানা যায়।
চাকরি থেকে বাদ পড়ার পর এসআইদের আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মামুনের একটি ভিডিও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে বিতর্ক আরো তীব্র হয়।

রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পরও আওয়ামী লীগের দোসরদের উত্থান হয়েছে। তাদের শৃঙ্খলা আইন ভঙ্গ করার কারণসহ ও সুনির্দিষ্ট যৌক্তিক কারণে অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যৌক্তিক আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কিছু অযৌক্তিক মানুষ ষড়যন্ত্র করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের তথ্য পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হক।’

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ