বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
Homeআন্তর্জাতিকটিউলিপকে মন্ত্রী করায়, এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!

টিউলিপকে মন্ত্রী করায়, এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!

গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি জয়ী হয় এবং কেয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেখানে তার কাজ ছিল দেশের আর্থিক খাতে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। টিউলিপ ছিলেন কেয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার নিজ দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছেন। দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক লেবার পার্টির এমপি মন্তব্য করেছেন, “টিউলিপকে মন্ত্রী বানানো ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সবাই জানতো, তার সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে, যাদের অনেক ক্ষমতা ও অর্থ রয়েছে। তাকে এমন একটি দায়িত্ব দেওয়া কি সঠিক ছিল?”

এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা)। ৩ জানুয়ারি, যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০০৪ সালে এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে টিউলিপকে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন।

ফ্ল্যাটটির তথ্য সামনে আসার পর, টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পর টিউলিপের মন্ত্রিত্ব সংকটে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হতে হয়।

টিউলিপ সিদ্দিক ৪২ বছর বয়সী এবং তিনি লেবার পার্টির সদস্য হন ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এরপর থেকে ওই আসনেই চার বার জয়ী হয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার পর, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তাকে যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ