শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
Homeক্যাম্পাসজাবিতে ছাত্রদলের মত বিনিময় সভায় দুই গ্রুপের উত্তেজনা, ভাংচুর

জাবিতে ছাত্রদলের মত বিনিময় সভায় দুই গ্রুপের উত্তেজনা, ভাংচুর

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন আহবায়ক কমিটির প্রথম মতবিনিময় সভায় দুই গ্রুপের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ’বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে ছাত্রদলের পদধারী যারা ছিলেন তারা বিকেল সাড়ে চারটায় জহির রায়হান মিলনায়তনে মতবিনিময় শুরু করেন। মত বিনিময় শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ও ৪০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের মার্যুক এবং সেলিম রেজাসহ প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ এসে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে জহির রায়হান মিলনায়তনের জানালার কাঁচ, চেয়ার ও দরজা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সভা স্থগিতের ঘোষণা দেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর।’

এসময় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের ’ছাত্রলীগের কমিটি মানি না, মানবো না,’ ’শিবিরের কমিটি মানি না, মানবো না’ ’পদবঞ্চিতদের অধিকার দিতে হবে’ ’আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এবিষয়ে পদবঞ্চিত নেতা আব্দুল কাদের মার্যুক বলেন, ’আমরা দীর্ঘদিন যাবত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে এসেছি। কিন্তু আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ব্যক্তিকে পদ দেয়া হয়েছে। আমরা যারা নিপীড়নের শিকার ও নির্যাতিত তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা এই পকেট কমিটি মানি না, আমরা তারেক রহমানের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ’আমরা সবাইকে কাজ করতে চাই। আজকে আহ্বায়ক কমিটির প্রথম মতবিনিময় সভা ছিল কিন্তু এই সভায় তৃতীয় কোন পক্ষ এসে অপ্রিতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে। আহ্বায়ক কমিটির কারো বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের অকাট্য প্রমাণ থাকলে আমরা তাদের অব্যাহতি দিয়ে দিবো।’

পদবঞ্চিতদের বিষয়ে তিনি বলেন, ’যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছে তাদের না পাওয়ার বেদনা আমরা বুঝি। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। যারা এক্টিভ ছিল কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ’আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল দল সহনশীল আচরণ করুক এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয়। এছাড়া আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যারা আমাদের রেগুলার শিক্ষার্থী তারাই রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করুক।’

spot_img

সর্বশেষ

আরও সংবাদ