ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত কর্মী মারা গেছেন। এই নিয়ে এ দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই জামায়াত কর্মী মারা যান। এর আগে শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ের শুরুর ঢালে ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় খুলনার দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমিরও নিহত হয়েছেন।
নিহত জামায়াত কর্মীর নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ (৫৫)। তিনি খুলনার দাকোপ উপজেলার মো. ইসমাইল শেখের ছেলে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশে যোগ দিতে খুলনা থেকে ২০টি বাসে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক শেষ করে ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার আগে ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে চায়ের দোকানে চা পান করেন। চা পান শেষে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে আবার সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য বাস ছাড়ার মুহূর্তে একটি বাসের ব্যানার খুলে যায়। ওই বাসের ব্যানারটি ঠিক করতে যান দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ ও অন্যরা। ওই সময় পেছন দিক থেকে রয়েল পরিবহনের একটি বাস নেতাকর্মী বহনকারী দাঁড়িয়ে থাকা বাসকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মাওলানা আবু সাঈদ নিহত ও অপর তিনজন আহত হন। ঘাতক বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আমানত শেখ মারা যান। বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।