চলন্ত বাসে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ জন রবিবার গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, গাজীপুর জেলা বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজিব (২৩), মো. শাহিন মিয়া (১৯) এবং মো. সুমন হাসান (২২)।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডা. আ ন ম আল মামুন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কপালে আঘাতের কারণে আমরা তার মাথার এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
পুলিশ জানায়, নওগাঁ থেকে এক দম্পতি শনিবার ভোরে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এসে নামেন। পরে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শ্রীপুরের মাওনার উদ্দেশে রওনা দেন। বাসটি ঢাকা ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে চান্দনা চৌরাস্তায় পৌঁছালে তাকওয়া পরিবহনের আরও তিনজন স্টাফ ওঠেন।
বাসটি হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছালে দম্পতি ছাড়া বাকি সব যাত্রী নেমে যাওয়ায় বাসটি খালি হয়ে যায়। বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর পাঁচ পরিবহন শ্রমিক দম্পতির নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এরপর চলন্ত বাসের ভেতর ওই নারীকে পাঁচ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় পৌঁছালে ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীর স্বামী শ্রীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে আটক এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি মনিরুজ্জামান।