দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে মৌভীবাজারের কুলাউড়ায় চা-শ্রমিকরা মঙ্গলবারও আন্দোলন চালিয়েছেন। সকাল থেকে উপজেলার নবিন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় চৌমুহনীতে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করেছেন। পরে বিকেল ৪টা থেকে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন চা শ্রমিকরা।
দেড় ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন। এরপর উপজেলার কালুটি, রাঙ্গিছড়া, রাজানগরসহ অন্য বাগানের হাজার হাজার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেন।
এর আগে, দেশে চা বাগানসমূহে শ্রম অসন্তোষ নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবার রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চা বাগানের শ্রমিক নেতৃাদের জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিক নেতারা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্বের মজুরিতে বাগানে ফেরার জন্য সিদ্ধান্ত নেন এবং লিখিতভাবে যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
কিন্তু বর্তমানে সাধারণ চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৈঠকের পর থেকেই সাধারণ শ্রমিকরা ফুঁসে উঠেছেন। তাদের বক্তব্য, যে চা শ্রমিক নেতারা এ সিন্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তারা শ্রমিকের আন্দোলনের কেউ না। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে দালালি করে ১২০ টাকা মজুরিতে একাত্মতা পোষণ করেছেন। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি ৩০০ টাকা। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন বন্ধ করবেন না।
চা শ্রমিকদের কাজে ফিরতে বলা হয়। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা এরপর থেকে আন্দোলন আরও জোরালো করার ঘোষণা দেন। আজ সকালে উপজেলার নবিন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় চৌমুহনীতে সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে বড়লেখা, জুড়ী উপজেলার শত শত গাড়ি অবরোধে আটকা পড়ে।