আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এমন একটি দল যারা কখনও কোনো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সাহস দেখাতে পারেনি। আর তারাই আবার দুর্নীতি নিয়ে বড় কথা বলে। যখন দুর্নীতি নিয়ে তারা বড় বড় কথা বলে তখন মানুষ হাসে।
বুধবার(২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দুর্নীতি বিশ্ব বিদিত। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নিজেদের দলকে দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে বিএনপি। বিএনপি আন্দোলনের নামে রাজপথে আবারও সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকাল বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে, এটা কিসের আলামত? এটা কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সক্ষমতায় বিএনপি আত্মদহনে দগ্ধ। বিএনপি নেতারা এখন মেগা হতাশায় ভুগছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা একসময় বলেছিলেন জোড়াতালির পদ্মাসেতু যে কোনো সময় ভেঙে পড়বে, অথচ বিএনপি নেতারা এখন ঠিকই পদ্মাসেতু পার হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই প্রহসনের নির্বাচন জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল, হ্যা-না ভোটের মাধ্যমে সামরিক উর্দি পরে, আবার কখনও ভোটারবিহীন নির্বাচন করে, কখনও গায়েবি ভোটার তৈরি করে জনগণের নির্বাচনের অধিকার হরণ করেছিল। কাজেই বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ভূতের মুখে রাম নাম।
বিএনপি সেসব অপকর্ম ভুলে থাকতে চাইলেও জনগণ কিন্তু তাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যায়নি এমনই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নাকি জণগণ থেকে দুরে সরে গেছে, আসলে সরকার নয়, বিএনপির সঙ্গে তৈরি হয়েছে জনগণের যোজন-যোজন দূরত্ব।
তিনি বলেন, বিএনপি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ তেমনি আন্দোলনেও ব্যর্থ। অতীতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তখন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং জনগণের চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন স্থাপন করতে পারেনি, যে কারণে জনগণের সঙ্গে তাদের দূরত্ব শুরু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধুমাত্র লিপ সার্ভিস দিয়ে এবং বক্তৃতা বিবৃতিতে বিষোদগার করে জনগণের থেকে দুরত্ব কমানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।