ইডেন কলেজ বিতর্ক দিনে দিনে বেড়েই চলছে। ‘সুন্দরী মেয়েদেরকে বাছাই করে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানো হয়’ বলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখীর বক্তব্যে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান নেটিজেনরা।
এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। নিজের ফেসবুক একাউন্টে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি একটি পোস্ট করেন।
পাঠকদের জন্য হুবহু তাঁর স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল–’গতকাল ইডেন কলেজ নিয়ে পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘন্টা পর আমি সেটা মুছে দেই। আপনারা জানেন সোশ্যাল মিডিয়া খুব তাৎক্ষণিক একটা মাধ্যম। এখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থাকে বেশী। কিন্তু আজকে একদিন চিন্তা করার পর আমি এই বিষয়ে আরেকটু গুছিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। কারন এটা খুবই সিরিয়াস একটা বিষয়।’
‘আমার পোস্ট মুছে দেয়ার কারন ছিলো কয়েকজন অভিভাবকের চিঠি। তারা লিখেছেন এই অভিযোগ আসার ফলে ঢালাওভাবে সবার প্রতি আঙ্গুল তুলছে সবাই। এতে বাবা-মা হিসাবে তারা খুবই বিব্রত। একজন তাঁর মেয়ের বিয়ে সম্পর্কিত আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে জানিয়েছেন। এই চিঠি পড়ার পর আমি সত্যিই একটু নড়ে উঠি। পরিবারের এই উদ্বেগ কিন্তু বাস্তব। আমি তারে পারি না এড়াতে।’
‘সুতরাং একটা কথা পরিষ্কার করা দরকার- ফোর্সড সেক্স বা সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশনের যে অভিযোগ আসছে সেটা তদন্ত হওয়া উচিত। এবং এই অভিযোগটা আসছে সরাসরি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কাছ থেকে যেটা বেশ কিছু সাধারন ছাত্রীও সমর্থন করেছেন। কথা হলো যদি তিরিশ হাজার ছাত্রীর মধ্যে বিশজনও এর শিকার হয় সেটা এক জঘন্যতম অরগানাইজড ক্রাইম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ভয়াবহ অপরাধ চলতে পারেনা। তাই তদন্ত করে যদি অভিযোগ সত্য প্রমান হয়, এর সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে। একই সাথে কলেজ প্রশাসনকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কিভাবে হলগুলাকে এইসব অনাচার মুক্ত করা যায়, সেটার উপরও কাজ করতে হবে।’
‘পাশাপাশি এটাও বলা দরকার, এটা তিরিশ হাজার ছাত্রীর বাস্তবতা না। ফলে ঢালাওভাবে মেয়েদের হোস্টেলে এই-ই ঘটে জাতীয় সরলীকরণ বা ফ্যান্টাসিকে যেনো প্রশ্রয় না দেই আমরা।ধন্যবাদ।’