ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আগামী ৩ ডিসেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার(৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১০ মে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ এবং দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের সবশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী।
পরে বিস্তর অভিযোগ উঠায় ১ বছর না পেরোতেই তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়৷ স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতা, নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত মূল্যায়ন না করাই অন্যতম অভিযোগ৷
এরপর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করা হয়।
এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন জয়-লেখক।