শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ফেসবুকে ওই নারীর এনআইডির ছবি শেয়ার করে ‘তথ্য দিন’ লিখে পোস্ট দেন আতিকুর রহমান। পরে বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যমের। ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর বলেন, গরুর হাটের ইজারা পাওয়ায় ওই নারীর তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাকে আমাদের দরকার তাই পোস্ট দিয়েছি। তাকে কেউ চেনে না। পরে ওই নারীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান এই ছাত্রলীগ নেতা।
একজন নারীর এনআইডি ফেসবুকে শেয়ার করা কতটা যৌক্তিক, প্রশ্ন করলে বিষয়টি এড়িয়ে যান আতিকুর রহমান।
সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইমাম বলেন, টেন্ডারে কয়টি শিডিউল জমা পড়েছে আমরা তার মধ্যে দুটি বৈধ পেয়েছি। এর মধ্যে এক নারী ৬৫ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ৫৩ লাখ টাকার দর জমা দিয়েছেন। রোববার (১৯ জুন) টেন্ডার কমিটির মিটিং শেষে এবারের ইজারা কে পাবেন, এ ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি আরও বলেন, মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত বড় বিষয় নয়, প্রাথমিকভাবে আমরা যাকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে পাই তাকেই মনোনীত করি। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ওই নারী সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ইজারা পাওয়ার যোগ্য।
শিডিউল জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে শরীফুল ইমাম বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। ঝামেলা ছাড়াই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তাহমিনা আক্তার মিলার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। কিন্তু নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা জানান, শেষ দিন ব্যাংক ড্রাফটসহ শিডিউল জমা দিতে চাইলেও ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার লোকজনের বাধার মুখে তারা সেটি পারেননি। এদিন সকালেই সাভারে প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার রেফারেন্সে ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান ও লোকজন তাদের শিডিউল নিয়ে নেন।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সাভার পৌরসভায় বিশেষ কোরবানি পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়। এবার পাওয়া ইজারার দর সাভার পৌরসভার প্রথম সর্বোচ্চ জানা গেছে।