প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্থির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন।
দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর রবিবার গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একজনের এতবার (নেতৃত্ব) দায়িত্ব নেয়া ঠিক নয়। কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে যে আমার বয়স হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা শুধু জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। এটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। এটা আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।’
তিনি প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। স্থানীয় ইউনিট অফিস স্থাপন করতে না পারলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাদের সাহায্য করবে বলে জানান তিনি।
তিনি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে উৎপাদন বাড়াতে দেশের প্রতি ইঞ্চি আবাদি জমি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা পুরো বিশ্বকে গ্রাস করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ধনী দেশ ইতোমধ্যেই মন্দার কথা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশকে সে অবস্থায় আটকা পড়া চলবে না। আমরা যদি অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পারি, তবে আমরা আমাদের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে অনেক দেশে রপ্তানি করতে পারব।’
শেখ হাসিনা নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আটটি বিভাগের জন্য আটটি নতুন দল গঠন করব, তাদের দায়িত্ব হবে নতুন সদস্য নিয়োগে দেখাশোনা করা।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন যারা এদেশের মাটি ও জনগণ থেকে গড়ে উঠেছে। অথচ বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের পকেট থেকে এসেছে যারা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, অথচ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের রয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব রয়েছে।