দিনাজপুরের বিরামপুরে যুবলীগের এক নেতার গুদাম থেকে পাচারের অভিযোগে ওএমএসের ১৮ বস্তা(৫৪০কেজি) চাল জব্দ করা হয়েছে। এই চালগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য গুদাম থেকে বের করা হচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার ও বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত ভ্যান থেকে ওএমএসের চাল জব্দ করেন।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল। তিনি বিরামপুর উপজেলা যুবলীগের শাখার সভাপতি এবং শহরের কলেজ বাজার এলাকার ওএমএস ডিলার।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাল কিনতে আবু হেনার দোকানে তারা ভিড় করেছিলেন। এক পর্যায়ে বিক্রি বন্ধ করে ওএমএস চালের বস্তা ভ্যানে তুলে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্রেতা। স্থানীয়রা চাল জব্দ করে পরে পুলিশকে খবর দেন।
উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের মো.উজ্জল জানান, সকাল থেকেই তিনি ওএমএস চাল পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। পরে দেখেন চাল বিক্রি বন্ধ করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আবু হেনা প্রতিদিনই চাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন।
আব্দুল গাফফার নামের এক খুচরা বিক্রেতা জানান, তিনি পরিবেশক আবু হেনার গুদাম থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে চার বস্তা চাল কিনেছিলেন। আবু হেনা প্রায়ই তার কাছে ওএমএসের চাল বিক্রি করে বলেও জানান তিনি।
জেলা খাদ্য দপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা আবু হেনা বলেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার দোকানে আসা ক্রেতাদের কাছে তিনি প্রতিদিন বরাদ্দ পাওয়া ওএমএসের চালই বিক্রি করেন৷ প্রশাসনের জব্দ করা চাল তাঁর গুদামের নয়। তার গুদাম থেকে চাল পাচারের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।